1. admin@dainik71erbani.com : admin :
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
Title :
গোপালগঞ্জে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০ জনবল সংকটে কালিয়া এলজিইডি কালিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই শতাধিক মানুষ বিএনপিতে যোগদান টুঙ্গিপাড়ায় এনসিপি মামলায় সাবেক পৌর কমিশনার নাসির শেখ গ্রেফতার ৬ দফা দাবিতে টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য সহকারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি সার ডিলার ব্যবস্থায় সিন্ডিকেটের আশঙ্কা!!! অভিযোগ কৃষকদের বিজয়া অষ্টমীর দিনে গোপালপুর ইউনিয়নের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এস এম জিলানী, ভোট চাইলেন ধানের শীষে দর্শনা চেকপোস্টে গোপালগঞ্জের আ.লীগ নেতা আটক কালিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তানোরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বিএনপির নেতা কর্মীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ গোপালগঞ্জের সাংবাদিক তপু শেখ টেকনাফে গ্রেফতার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪,আহত ২ “টুঙ্গিপাড়ায় দুর্গোৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি” মনোহরদীতে অধ্যক্ষ আবু রায়হান ভুইয়ার বিরুদ্ধে জীবিতকে মৃত দেখিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা কোটালীপাড়ায় ভিমরুলের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু টুঙ্গিপাড়ায় নাগরিক সনদ তুলতে গুনতে হচ্ছে ৩০ টাকা: ভোগান্তিতে সাধারণ গ্রাহকরা ছাত্রদল সব সময় ছাত্রদের পাশে” — টুঙ্গিপাড়া সরকারি কলেজে নবীনবরণে কলেজ ছাত্রদল সভাপতি হাবিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়ায় বেহাল সড়ক, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীসহ ২০ গ্রামের মানুষ

টুঙ্গিপাড়ায় নাগরিক সনদ তুলতে গুনতে হচ্ছে ৩০ টাকা: ভোগান্তিতে সাধারণ গ্রাহকরা

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১০

টুঙ্গিপাড়া, (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৪ নং পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সনদ পেতে সাধারণ মানুষকে ৩০ টাকা ফি দিতে হচ্ছে, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন,
নাগরিক সনদ সরকারের একটি মৌলিক সেবা। অথচ সেটি তুলতে গেলে ৩০ টাকা গুণতে হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইউনিনের ৬ নং ওয়ার্ড শ্রীরামকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল শেখ বলেন, আমি একটি নাগরিক সনদ নিতে আসছি আমার কাছে টাকা ছিল না। পরে আমি ধার করে ৩০ টাকা নিয়ে নাগরিক সনদ সংগ্রহ করেছি। একই গ্রামের মুরাদ শেখ বলেন আমিও নাগরিক সনদ নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছি, ৩০ টাকা ছাড়া নাগরিক সনদ দিচ্ছে না। ৭ নং ওয়ার্ডের হাবিবুল্লাহ খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে আমরা আসি নাগরিক সেবানিতে, টুঙ্গীপাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের অন্য ৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের কোথাও টাকা লাগে না। শুধুমাত্র আমাদের পাটগাতি ইউনিয়ন পরিষদে অনলাইনের কথা বলে ৩০ টাকা নিচ্ছে,এতে আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন,ওয়ারিশ সনদ সহ অন্যান্য সেবা গ্রহণ করতে টাকা ছাড়া সম্ভবই হয় না।

এ বিষয়ে পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন,
জেলা প্রশাসক নির্দিষ্ট করে দেননি কত টাকা নেওয়া যাবে। তবে ৩০ টাকার মধ্যে ১২ টাকা অনলাইনে কাটা যায়, বাকিটা কাগজ, কালি ও উদ্যোক্তার খরচ। এছাড়াও জন্ম নিবন্ধন করতে ১৫০থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার কথা বলেছেন জেলা প্রশাসক।

তিনি আরও দাবি করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও (ইউএনও) এ বিষয়ে জানেন না এবং সাংবাদিকদের ইউএনও র কাছেই বিস্তারিত জানতে বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন,আমি এ বিষয়ে উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার গোপালগঞ্জ (ডিডিএলজি) স্যারের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিশ্বজিৎ কুমার পাল ডিডিএলজি উপ-পরিচালক ও উপ সচিব (স্থানীয় সরকার) বলেন ইউনিয়ন পরিষদের যদি টাকা লেনদেন করে তাহলে অবশ্যই রশিদ দিতে হবে এবং সেটি ইউনিয়ন পরিষদের অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, নাগরিক সনদ প্রাপ্তি একটি সেবামূলক কাজ যার জন্য নির্ধারিত সরকার নির্ধারিত ফি ব্যতীত অতিরিক্ত টাকা নেওয়া আইনবিরুদ্ধ। অথচ পাটগাতী ইউনিয়নে এটি যেন নিয়মিত চর্চা।

স্থানীয় একাধিক সেবা গ্রহণকারী বলেন,
আমরা দরখাস্ত নিয়ে গিয়ে দেখি টাকা ছাড়া ফর্ম নেয় না। বলা হয় ৩০ টাকা না দিলে সনদ হবে না। এটা কেমন সেবা

সচেতন মহল ও ভুক্তভোগীরা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা মনে করছেন, সেবা নেওয়ার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ না হলে, সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন পরিষদের ওপর আস্থা হারাবে। এছাড়াও গণমাধ্যম কর্মীরা উপজেলার গোপালপুর,কুশলী,ডুমুরিয়া ও বর্ণি পরিষদে কথা বলে জানতে পারে,অন্য কোন পরিষদে অনলাইনে নাগরিক সনদ দেওয়া হচ্ছে না। এতে সাধারণ জনগণকে ৩০ টাকা গুনতে হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন পরিষদের এক সচিব বলেন, অনলাইন নাগরিক সনদ দিতে গেলে অনেক সময় সফটওয়্যারে সমস্যা হয়। সেবা গ্রাহককে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।

সরকার যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা দেওয়ার কথা বলছে, সেখানে এই ধরনের অনিয়ম সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মুখে ফেলছে।
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কবে নাগরিকদের এই ন্যায্য অধিকার আদায়ে পদক্ষেপ নেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
Customized By BlogTheme