নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মনোহরদীতে এক জীবিত দাতা সদস্যকে মৃত দেখিয়ে গোপনে গভর্নিং বডি গঠনের অভিযোগ মিলেছে চন্দনবাড়ী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে দাতা পরিবারের ১ ব্যক্তি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সহ নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন।
জানা যায়, মনোহরদীর চন্দনবাড়ী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির কমিটি গঠন নিয়ে গুরুতর অভিযোগ মিলেছে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এতে মাদ্রাসার দাতা সদস্য ও তাদের পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে গভর্নিং বডির কমিটি গঠন পূর্বক অনুমোদনের জন্য জমা দেয়া হয়েছে বলে দাতা সদস্য ও তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ পেশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে বলেও জানা গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, মাদ্রাসার অফিস কক্ষে দাতা সদস্যদের নামের তালিকা সম্বলিত টানানো একটি অনারবোর্ডে চন্দনবাড়ী গ্রামের আব্দুল কাদির নামের এক জমি দাতাকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়।এ বিষয়ে দাতা সদস্যদের পক্ষ থেকে রুহুল আমিন ও অপর একজন নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কাছেও একটি পৃথক লিখিত অভিযোগ পেশ করেন।
ভূক্তভোগী দাতা সদস্য আব্দুল কাদির
জমি দাতা আব্দুল কাদির বলেন ,আমি জীবিত থাকা সত্বেও তাকে মৃত উল্লেখ করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের প্রশাসন ও সরকারের কাছে বিচার দাবী করছি ।এ বিষয়ে অন্যতম অভিযোগকারী রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এসব অনিয়মের বিচার দাবী করে তিনি অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় মাদ্রাসায় দাতা পরিবার ও স্থানীয়দের মাঝ চরম অসন্তোজ বিরাজ করছে।