আরিফুল ইসলাম রিয়াজ, মোল্লাহাট, বাগেরহাট:
সরকার যে নতুন সার ডিলার ব্যবস্থা চালু করতে চাচ্ছে, তাতে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট তৈরির সম্ভাবনা প্রবল। সরকারের ভর্তুকির টাকা যদি কয়েকজন প্রভাবশালী ডিলারের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়, তবে কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে সার পাবেন না।
এতে কৃষক আবারও ডিলারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বেন এবং সার ব্যবস্থায় ভয়াবহ সংকট দেখা দিতে পারে।
স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেন, এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে পূর্বের তুলনায় আরও বড় সমস্যা তৈরি হবে। সরকারের উচিত সার ডিলার সংখ্যা কমানো নয়, বরং আরও বৃদ্ধি করা।
প্রতিযোগিতা মূলক বাজার তৈরি করা গেলে একদিকে কৃষক ন্যায্যমূল্যে সার পাবে, অন্যদিকে দুর্নীতির সুযোগও রোধ হবে।
বাগেরহাটের মোল্লাহাট বাজারের খুচরা সার ব্যবসায়ী জাহিদ শেখ ও মুরাদ সিকদার জানান, খুচরা ডিলার কমালে কৃষকের সময়মতো সার পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। কৃষকরাও এ বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, অনেক ডিলার সার কিনতে গেলে কীটনাশক কিনতে বাধ্য করেন। “সার চাইলে বলে, আগে কীটনাশক কিনতে হবে, না হলে সার দেব না”— এমন অভিযোগ সাধারণ কৃষকদের। এতে ভেজাল, নামি-বেনামি কীটনাশক বিক্রি করাও ডিলারদের জন্য সহজ হয়ে যাচ্ছে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সার বিতরণে যদি কয়েকজন ডিলারের দখলদারিত্ব কায়েম হয়, তাহলে একচেটিয়া সিন্ডিকেট তৈরি হবে। কৃষক স্বার্থ রক্ষায় এবং ন্যায্য বাজার নিশ্চিত করতে সরকারের উচিত এই সিদ্ধান্ত থেকে অবিলম্বে ফিরে আসা। কৃষক ও সাধারণ সার ব্যবসায়ীদের মতামত নিয়ে একটি টেকসই আইন প্রণয়ন করাই একমাত্র সমাধান।